• রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৪ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
Headline
বিটিএসএফ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠান। পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিগত বৈষম্য এবং পাহাড় নিয়ে দেশি-বিদেশিদের ষড়যন্ত্র অবগত করে স্মারকলিপি প্রদান করেন: পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ। চট্টগ্রামে শিশুটির লাশ দীর্ঘ ১৪ ঘণ্টা পর নিজ বাসার পাশেই ভেসে উঠলো কয়রায় এক যুগ আগের হত্যা মামলায় ৬ সাংবাদিকসহ ১১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা সাংবাদিকের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে দুই ভূয়া ডি বি পুলিশ আটক পাহাড়ি শিক্ষার্থীর(চবি) মুক্তিতে এখন কেন সেনাবাহিনীর দরকার? চট্টগ্রামে আত্মীয়ার বাসায় বেড়াতে এসেই যেন কাল হলো শিশুটির মায়ের পার্বত্য চুক্তি বিচ্ছিন্নতাবাদী এলিট শ্রেণী চাকমার স্বার্থ রক্ষার ব্যতিরেকে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে অকেজো। দক্ষিণ চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে আগুনে পুড়ে ছাই ৬ বসত ঘর, নারীসহ দগ্ধ ৩

পার্বত্য চুক্তি বিচ্ছিন্নতাবাদী এলিট শ্রেণী চাকমার স্বার্থ রক্ষার ব্যতিরেকে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে অকেজো।

Reporter Name / ৫০ Time View
Update : শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

অভূতপূর্ব জুলাই আগষ্টের বিপ্লবে সাধারণ শিক্ষার্থী-জনগনের দুই হাজার তাজা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বিপ্লব বৈষম্যহীনতার রোধ জাগ্রত করেছিলে। জাতিবিনাশের উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে দেশে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকারীরা দেশ কে অন্যত্র দেশের আধিপত্য বিস্তারে কার্যকর ভূমিকা রেখেছিলেন। পার্বত্য মাটিতে শহীদ অন্যতম জাতির সূর্য সন্তান বীর শ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফের রক্তাক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিচ্ছিন্নকরণ কতিপয় এলিট থেকে মুক্তি হতে পারছেন না। একতরফা দেশবিরোধী পার্বত্য চুক্তি ১৯৯৭ সালে করেও সরকার বিচ্ছিন্নতাবাদীর হাত থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে রক্ষা করতে পারেন নি, তাহলে এই পার্বত্য চু্ক্তি সার্বভৌমত্ব রাক্ষার্থে কতটুকু যুক্তিসঙ্গত তা পার্বত্য জনগনসহ দেশবাসী জানতে চায় সরকার থেকে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের রাষ্ট্রীয় অধিকার বঞ্চিত সাধারণ পাহাড়ি-বাঙ্গালি সম্পর্কিত বিভিন্ন ন্যায্য দাবি উত্থান ও আদায়ে সরকারের নিকট তীব্র ভুমিকা রাখছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ(পিসিসিপি)। পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ একটি অসাম্প্রদায়িক পাহাড়ের মানুষের গ্রহণযোগ্য একটি অরাজনৈতিক আঞ্চলিক স্বদেশ প্রেমিকদের সংগঠন। এই সংগঠনের কার্যক্রম পার্বত্য অঞ্চল কে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাত থেকে রাক্ষার্থে সরকারকে হুশিয়ারি করাসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্য সম্প্রীতি বজায় রাখা এমন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকেন।

পার্বত্য চু্ক্তির শর্ত মতে, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী সমমর্যাদা) অনির্বাচিত ২৭ বছর একটানা নির্দিষ্ট জাতিতে ক্ষমতা বহাল আছে। কিন্তু তিনি রাষ্টীয় পদ ব্যবহার করা সত্ত্বেও ২০২০ সালের পূর্বে বাংলাদেশের নাগরিক বা আইডি কার্ড ছিলেন না। সরকারের এতো উদাসীনতা জাতিকে কষ্ট দিয়ে ক্ষমতাধারী ভারতপন্থী উপজাতিরা দেশের ক্ষতি করছেন। একক জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়ে গণতান্ত্রিক চর্চা ব্যাহত করছেন এই পার্বত্য চুক্তির ধারাগুলো। এই সকল একক জাতি চাকমার নিয়ন্ত্রিত সকল ক্ষমতার অপব্যবহার করে পার্বত্য চট্টগ্রাম কে ছিন্ন করতে উঠেপড়ে লেগেছে।

বারংবার একতরফা একক চাকমা গোষ্ঠীকে অনির্বাচিত, মনোনীত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের দিয়েই পরিষদগুলোর কাজ অগণতান্ত্রিক জবাবদিহিবিহীনভাবে সামাল দেওয়া হচ্ছে। এতে চাকমা উপজাতি ছাড়া অন্যান্য কোনো জাতি মুরং, ম্রো, পাংখোয়া, লুসাই, চাক, হিন্দু-মুসলিম-বড়ুয়া-বড়ুয়া বাঙ্গালিদের আর্থসামাজিক, শিক্ষা, রাষ্টীয় অধিকার, উন্নয়নসহ সবকিছুইতেই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাকমা উপজাতি জনগোষ্ঠীরা সংখ্যাগত বেশি হওয়ায় পার্বত্য সর্বত্র স্থানে তাদের আধিপত্যের স্বীকার হয়ে জীবননাশ হচ্ছেন অন্যান্য ক্ষুদ্র উপজাতিরা।চাকমা উপজাতির এই অনিয়ম নিজ জাতিসত্তার প্রতি স্বার্থান্ধ এর বিরুদ্ধে বারবার পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ কর্তৃক সরকারকে সতর্কতা করা হলেও সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য।

বিভিন্ন সময়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র চাকমা সন্ত্রাসী গ্রুপ জেএসএস, ইউপিডিএফ এর হাতে জীবন বলি দিতে হয়েছে অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে বাংলাদেশের প্রতি কথা বলার জন্য। অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, চাকমাদের পার্বত্য বিচ্ছিন্নতার কৌশল নিয়ে কথা বলাতে তাদের জিবন হুমকিতে পড়ে যায়, ফলে অনেক দেশ প্রেমিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, চাকমা সন্ত্রাসীদের অন্যায়ের বিরুদ্দে কথা বলে পরিবারের সদস্যদের বিপদে ফেলতে চান না। কতিপয় শিক্ষিত চাকমা জনগোষ্ঠীরা অন্যান্য জাতির দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে রাষ্টবিরোধী হতে সুযোগ করে দেন।

এরূপ পরিস্থিতি এড়াতে দেশের সবকিছুতে সমানতালে কার্যক্রম পরিচালনার প্রয়োজন। এখন পার্বত্য অঞ্চল অনগ্রসর অঞ্চলের জন্য যে অতিরিক্ত রাষ্টীয় সুবিধা দেওয়া হয়েছে সেই সুবিধা নিয়ে রাষ্টের অর্থ দ্বারা এলিট চাকমারা দেশকে বিচ্ছিন্ন করতে চাচ্ছেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যু(আদিবাসী) নিয়ে। সমতল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা যেমন শান্ত প্রকৃতির দেশ প্রেমিক, পার্বত্য অঞ্চলের উপজাতি তার সম্পূর্ণ বিপরীত প্রতীয়মান বিশেষ করে চাকমা এলিট শ্রেণী। পার্বত্যের মধ্যে একমাত্র সুবিধা প্রাপ্ত চাকমা এলিট জনগোষ্ঠীরাই পার্বত্য অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে। সমতলের কিছু সুশীল সমাজ বারবার মিথ্যাচার করে আসছে যে পার্বত্য অঞ্চলে সেনা শাসনের কারণে উপজাতিদের নির্মূল করা হচ্ছে। সরকারের উচিত ছিল আগে থেকে পার্বত্য অঞ্চলে সর্বোচ্চ রাষ্টীয় সুবিধাভোগীরা সরকারের দুর্বলতার সুযোগে যেন স্বার্বভৌমত্বের আঘাত আনতে না পারে। এখনো সরকারের সময় রয়েছে যে, পার্বত্য এক দশামাংশ ভুমি রাক্ষার্থে সেনাক্যাম্প বাড়িয়ে পার্বত্য জনগনের জীবন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

লেখক-
ওমর ফারুক
সহ-সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক
পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ(পিসিসিপি)।
[email protected]

Facebook Comments Box


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
bdit.com.bd