রিপোর্টার : মাহবুব হাসান স্বাধীন
দৈনিক যুগান্তর বাংলাদেশ
প্রতারণার এক ভয়ংকর ফাঁদের মুলহোতা ডুমনির বেলতলার বাসিন্দা জামাল আহমেদ টিপু। আর এই প্রতারণার কাজে তার অন্যতম সহযোগী তার স্ত্রী নার্গিস আক্তার।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এই প্রতারক দম্পতি সাধারণ মানুষ কে সুদে টাকা দিয়ে স্ট্যাম্প করে পরবর্তী তে ব্ল্যাকমেইল শুরু করে। তাদের এই জালিয়াতি তে এবার উঠে এসেছে এক সাংবাদিক কে ফাসানোর অভিযোগ। জানা যায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক প্রায় মাস চারেক আগে জামাল আহমেদ টিপু ও নার্গিস আক্তার এর নিকট হইতে একটি গাড়ি বন্ধক রেখে তিনশ টাকার স্ট্যাম্প করে ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা তিনমাসের জন্য গ্রহণ করে। অথচ টিপু তাকে উক্ত স্ট্যাম্পের কোন ফটোকপি দেয়নি।
পরবর্তী তে ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিক স্থানীয় নেতার মধ্যস্ততায় ১ লাখ টাকা ফেরত দিয়েও স্ট্যাম্পের অনুলিপি ফেরত চাইলেও টিপু জামানতে রাখা গাড়ি বা স্ট্যাম্পের কোন ডকুমেন্টস দিতে অস্বীকৃতি জানায়।যার কল রেকর্ড ওই সাংবাদিকের কাছে সংরক্ষিত আছে। যে বিষয় টি ইতিমধ্যেই ডুমনির স্থানীয় পর্যায়ের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের কাছে অবগত। উপরন্তু টিপু ওই সাংবাদিক কে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ এসেছে ক্রাইম টিমের কাছে।
এছাড়াও আরও অনেক ভুক্তভোগীর স্বাক্ষ্য প্রমানে উঠে এসেছে যে একই লেনদেনের একাধিক চুক্তি পত্র করার অভিযোগ।
টিপুর বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে ডুমনি বেলতলার স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের পলাতক চেয়ারম্যান শরীফ এর অন্যতম সহযোগী আওয়ামী লীগ নেতা পলাতক বাচ্চুর আত্মীয় হওয়ায় তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলতে সাধারণ মানুষ ভয় পায়। অথচ ০৫ ই আগস্টের পর হাজারো নিরীহ ছাত্র জনতার বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে পাওয়া নতুন বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলেও প্রশাসনের রহস্যময় নীরবতার কারণে আওয়ামী দোসররা টিপুর মত রুপ ধারণ করে এখনো প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয় টি নিয়ে স্থানীয় শালিসি নেতৃবৃন্দের কাছে ইতিমধ্যেই অবগত করা হয়েছে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে।
তাই বিষয় টি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা ও সাংবাদিক মহল থেকে নানারকম উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি ইয়াবা ও গাঁজা সেবনকারী ও মাদকাসক্ত টিপুর বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
উল্লেখ্য যে জামাল আহমেদ টিপুর জালিয়াতির বেশকিছু অডিও কল রেকর্ড অনুসন্ধানের টিমের কাছে চলে এসেছে।