• রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৪ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
Headline
কানাইঘাট থানা পুলিশ কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত ০২ জন আসামী ও নিয়মিত মামলার ০২ জন আসামী এবং ফৌঃ কাঃ বিঃ ৫৪ ধারা মোতাবেক ০১ জন আসামী সহ মোট ০৫ জন আসামী গ্রেফতার বিটিএসএফ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠান। পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিগত বৈষম্য এবং পাহাড় নিয়ে দেশি-বিদেশিদের ষড়যন্ত্র অবগত করে স্মারকলিপি প্রদান করেন: পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ। চট্টগ্রামে শিশুটির লাশ দীর্ঘ ১৪ ঘণ্টা পর নিজ বাসার পাশেই ভেসে উঠলো কয়রায় এক যুগ আগের হত্যা মামলায় ৬ সাংবাদিকসহ ১১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা সাংবাদিকের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে দুই ভূয়া ডি বি পুলিশ আটক পাহাড়ি শিক্ষার্থীর(চবি) মুক্তিতে এখন কেন সেনাবাহিনীর দরকার? চট্টগ্রামে আত্মীয়ার বাসায় বেড়াতে এসেই যেন কাল হলো শিশুটির মায়ের পার্বত্য চুক্তি বিচ্ছিন্নতাবাদী এলিট শ্রেণী চাকমার স্বার্থ রক্ষার ব্যতিরেকে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে অকেজো।

ফুলবাড়িয়ায় একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই কোনো শহীদ মিনার

Reporter Name / ১১৩ Time View
Update : রবিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৪

মোঃ সাবিউদ্দিন: মাতৃভাষা আন্দোলনের এতো বছর পাড় হলেও ফুলবাড়িয়া উপজেলার, ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনো নির্মাণ হয়নি কোনো শহীদ মিনার।

এর ফলে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ও ভাষা শহীদদের সম্পর্কে ধারণা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। আর যেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে তা বছরের পর বছর পড়ে থাকে অযত্ন আর অবহেলায়।

আর যেসব প্রতিষ্ঠানে একবারেই নেই শহীদ মিনার সে সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২১ ফেব্রুয়ারি পালন করে শুধুমাত্র জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে এতো বছরেও এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মিত হয়নি বলে মনে করেন সুধী সমাজ।

জানা গেছে, ফুলবাড়িয়া উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা, কলেজ, মহিলা কলেজ ও ডিগ্রী কলেজ সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিছু প্রতিষ্ঠানে ভাষা আন্দোলনের প্রতীক শহীদ মিনার থাকলেও একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই কোন শহীদ মিনার। ফলে ঐ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২১ ফেব্রুয়ারি পালন করা হয় শুধুমাত্র জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে।

এ কারণে ঐ সব প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন থেকে বঞ্চিত থাকে। এনিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। আর যেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে, তারমধ্যে কিছু শহীদ মিনার তা বছরের পর বছর পড়ে থাকে অযত্ন আর অবহেলায়। এসব শহীদ মিনারে কখনো গবাদি পশুর বিচরণ আবার কখনো বখাটেদের আড্ডাস্থলে পরিণত হতে দেখা যায়।

ফুলবাড়িয়া উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাগন গণমাধ্যমকে বলেন, স্বাধীনতার এতো বছরেও ফুলবাড়িয়ার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকা সত্যিই দুঃখ জনক। শিক্ষর্থীদের মধ্যে মাতৃভাষার প্রতি সম্মান-ভালোবাসা জন্ম দেয়া, ভাষা-সংস্কৃতির জন্য আত্মোৎসর্গ করা, শহীদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করা, তাদের দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে শহীদ মিনার একটা বড় ভূমিকা রাখতে পারে। সেই জন্যই প্রত্যেক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকা জরুরি।

কমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস জানতে এসব প্রতিষ্ঠানে সরকারিভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করা জরুরি। শহীদ মিনার নির্মাণ এবং আগামী প্রজন্মকে শহীদ মিনারের গুরুত্ব, তাৎপর্য জানানো খুবই জরুরি।

এটাও লক্ষণীয় যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যে শহীদ মিনারগুলো রয়েছে, সেগুলো ২১ ফেব্রুয়ারিসহ বিশেষ কয়েকটি দিন ছাড়া সারা বছর থাকে অবহেলা ও দৈন্যদশায়। আমরা মনে করি, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ভাষা দিবসের গুরুত্ব ও যথার্থতা জানাতে ফুলবাড়িয়া উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপনের পাশাপাশি স্থাপিত শহীদ মিনার গুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া জরুরি।

Facebook Comments Box


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
bdit.com.bd