বর্তমান সময়ে দেশের দিকে তাকালে বোঝা যায় দিন দিন প্রতারণার ফাঁদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতারণার ফাঁদে পড়ছে ছোট-বড় ব্যবসায়ী,
রাজনীতিবীদ,প্রবাসী,
দেশি-বিদেশি কূটনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, রাষ্ট্রদূত সহ অনেকেই। প্রতারণার ফাঁদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণাকারীর কলাকৌশল। কেউ পড়ছে টাকার লোভে আবার কেউ পড়ছে প্রেম গঠিত সম্পর্কে। এই প্রতারণার ফাঁদে পড়ে অনেকেই হচ্ছেন সর্বস্বান্ত। কেউ হারাচ্ছে কষ্ঠে অর্জিত সম্পদ , আবার অনেকেই হারাচ্ছে নিজের সতীর্থ। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখা যায় সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত থেকে শুরু করে বিভিন্ন কূটনৈতিক মহলকে সুন্দরী নারীর লোভে ফেলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার চক আকাঁছেন একটি চক্র। এই রকম একটি অভিযোগ উঠেছে মডেল মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি মামলায় মডেল মেঘনা আলম কে আটক দেখিয়েছেন আদালত। মেঘনা আলম এর নামে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে সুন্দরী নারীদের দিয়ে ব্ল্যাকমেলিং করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।
তবে অভিযুক্ত মডেল মেঘনার অভিযোগ ভিন্ন। মেঘনা বলেন, তার সাথে সৌদি রাষ্ট্রদূত এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তাঁরা। এ মামলায় সিদ্ধান্ত আসবে দেশের আইন আদালত থেকেই। তদন্তের মাধ্যমে সচ্চ ও নিরপেক্ষভাবেই এর বিচার হতে হবে।
এখন কার সময় ইউটিউব, ফেসবুক খুললেই চোখে পড়ে প্রতারণার নতুন নতুন অসংখ্য ফাঁদ। এ সমস্ত প্রতারণার ফাঁদ থেকে রক্ষা পেতে মানুষকে সচেতন ও সজাগ থাকতে হবে। দেশের আইন ও প্রশাসনকে কঠোর নজরদারী বাড়াতে হবে। বিশেষ ক্ষমতা বলে আইন প্রয়োগ করতে হবে। আইন থাকলে হবে না। আইনের যথার্থ প্রয়োগ থাকতে হবে। এই দেশে আইনের যথার্থ প্রয়োগ না থাকায় বারবার প্রতারণা করেও রক্ষা পাই প্রতারণাকারী। আর সর্বস্বান্ত ও ফেঁসে যায় প্রতারণার শিকারকারী। দেশের আইনি ব্যবস্থাকে কঠোর হতে হবে। যাতে সাধারন মানুষ প্রতারণা ও অন্যায় করতে দু’বার চিন্তা করে। আইনের যথার্থ প্রয়োগ না থাকলে এ সমাজ থেকে প্রতারণা ও সমস্ত অন্যায় মূলক কাজ দূর করা অসম্ভব। নীতিবান হউন,সচেতন হউন এবং আইনকে সহযোগিতা করুন ও সম্মান করুন।
এম ইমরান বিন ইসলাম
সহ-সম্পাদক,দৈনিক যুগান্তর বাংলাদেশ