৪ দিন ব্যাপী বিশাল এই বিনিয়োগ সম্মেলনে উচ্চ আকাঙ্ক্ষায় বাংলাদেশ। এবারের বিনিয়োগ সম্মেলন অতীতের সকল রেকর্ড কে ভাঙবে বলে আশা অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের। গত ১০ এপ্রিল ২৫ ইং বৃহস্পতিবার বিনিয়োগ সম্মেলন শেষ করে দেশি-বিদেশি প্রায় ৭০ টি বিনিয়োগকারী প্রতিনিধি দলের উপস্থিতি নিয়ে। বিশ্লেষকরা মনে করেন এটা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বপ্ন পূরণে একধাপ এগিয়ে যাবে।
প্রত্যেক বিনিয়োগকারী বাংলাদেশের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে নিজ দেশে ফিরে যান।বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সাথে দেশীয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটি নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। সম্মেলনে আগামী দশকের বাংলাদেশের যে স্বপ্নের কথা তুলে ধরা হয়েছে, তা ভবিষ্যতে পলিসির ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পৃক্ততা উভয় বিষয় নিশ্চিত করা হয়েছে। বিনিয়োগকারী দল প্রথমেই চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থিত ইয়ংওয়ান ও কেইপিজেড'র বিভিন্ন কারখানা পরিদর্শন করে আপ্লুত হন। বিনিয়োগকারীদের জন্য একান্ত জরুরী বিষয় হল আস্থা অর্জন ও একটি বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা। সম্মেলনে বিডার নবনিযুক্ত নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ সুন্দর প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করে তুলেন। এর বাস্তব চিত্র বুঝা যায় সম্মেলন শেষে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশার উপর।
আশা করা যায় বিনিয়োগকারীদের সুন্দর মনোভাবনা আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কোন ধরনের বাঁধা হবে না। বর্তমানে বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা অনেক। আশা করা যায় যদি বিনিয়োগ সম্মেলনের যথার্থ প্রয়োগ হয় তাহলে বেকারের সংখ্যা অনেকটা কমে আসবে। তবে রাজনৈতিক দলদের প্রতি আহ্বান থাকবে তারা সুন্দর ও ন্যায় ভাবে নিজেদের দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। যাতে করে দেশে কোন বিশৃংখল ও সংঘাত তৈরি না হয়। আগামীর বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে রাজনৈতিক দলের শান্তি-শৃঙ্খলার উপরই নির্ভর করবে বিনিয়োগকারীদের অবস্থান। অন্যথায় বিনিয়োগ সম্মেলনের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকবে। তাই আমাদের উচিত স্বপ্নের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সামাজিক,রাজনৈতিক মানসিক, পারিবারিক, বাণিজ্যিক,অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক সকল সম্পর্ক সুস্থ রাখা। তাহলেই আগামীর স্বপ্ননীল সুন্দর বাংলাদেশকে কেউ রুখতে পারবে না।
সহ-সম্পাদক,দৈনিক যুগান্তর বাংলাদেশ