মুহাম্মদ জিয়া উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধি চট্টগ্রাম :
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ গরুর বাজার আনোয়ারা উপজেলার সরকার হাট। কোরবানির বাজার উপলক্ষে গত সোমবার সরকারহাট এলাকায় কোরবানির গরুর বাজার ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ যানজট। পটিয়া-আনোয়ারা-বাঁশখালী (পিএবি) সড়কের তৈলারদ্বীপ সেতুর দুই পাশে প্রায় ৬ কিলোমিটারজুড়ে এ যানজটে আটকা পড়েছেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাজারসংলগ্ন সড়কে গরু ওঠানামা ও যাত্রী পরিবহনের বিশৃঙ্খলার কারণে দিনভর এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এছাড়া গত সোমবার (২ জুন ) বৃষ্টি না থাকায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় কোরবানির পশুর হাটে ভিড় ছিল উপচে পড়া।
বিক্রির জন্য দেশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে গরু নিয়ে আসা পাইকারদের পাশাপাশি শহর ও গ্রামাঞ্চল থেকে আগত ক্রেতাদের ঢল নামে সরকার হাটে। ফলে বারখাইন ঝিওরী মাজার গেট, তৈলারদ্বীপ, সরকার হাট ও বরুমচড়া রাস্তা মাথা হয়ে চানপুর পর্যন্ত উভয় দিকে প্রায় ৬ কিলোমিটারে যানজট দীর্ঘস্থায়ী হয়ে পড়ে।
সূত্রে আরও জানা যায়, দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যান চলাচল প্রায় সম্পূর্ণরূপে স্থবির হয়ে পড়ে। অ্যাম্বুলেন্স, যাত্রীবাহী বাসসহ সব ধরনের যানবাহন এই যানজটে আটকে পড়ে। যাত্রীদের অভিযোগ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকলেও যানজট নিরসনে পুলিশের তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি।
ইজারাদার সূত্রে জানা যায়, বাজার কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ভলান্টিয়ার নিয়োগ থাকলেও যানজট এড়ানো সম্ভব হয়নি। সাধারণত এই বাজারে বিভিন্ন সাইজের গরু,মহিষ,ছাগলের চাহিদা রয়েছে। শহরসহ বিভিন্ন দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারা আসেন গরু,মহিষ ক্রয় করতে। দামে এবং যাতায়াতের সুবিধা ভাল হওয়ায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় থাকে।
এ বিষয়ে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, গত সোমবার হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতার চাপ বেশি ছিল। আমাদের থানার ৭ জন পুলিশ সদস্য ও ট্রাফিক বিভাগ যৌথভাবে যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছেন। তবে যানবাহনের চাপ বেশি হওয়ায় যানজট দীর্ঘ হয়েছে।” আগামী শুক্রবার আরো বেশি জেম জট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া আনোয়ারা ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (টিআই) আজাদ বলেন, “সরকার হাটের পশুর হাট ঘিরে আমরা যানজট নিরসনে কাজ করছি। এই প্রচেষ্টা কোরবানির আগের দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।”
রিপোর্ট : মুহাম্মদ জিয়া উদ্দিন, আনোয়ারা, চট্টগ্রাম।
তাং: ০৩/০৬/২৫ইং।