স্টাফ রিপোর্টার- রাসেল আলম
রাসেল: আসসালামু আলাইকুম
তানভীর: ওয়ালাইকুম সালাম
রাসেল: কেমন আছেন?
তানভীর: আলহামদুলিল্লাহ ভালো, আপনি কেমন আছেন?
রাসেল: আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো।
রাসেল. আমরা আপনার রাজনীতিতে আসার কাহীনি শুনতে চাই।
তানভীর: আসলে আমি ছোটো বেলায় দেখতাম আমার কাকা শফিউল বারী বাবু আমাদের এলাকায় (রামগতি)বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন মূলক কাজ করতো, এবং এলাকার মানুষের সুখে দুঃখে সবাইকে সাহায্য সহযোগিতা করতো। আমি দেখতাম তখন এলাকার বৃদ্ধ মহিলারা কাকার জন্য দু'হাত তুলে আল্লাহর কাছে দোয়া করতো। তখন আমার মনের ভিতর রাজনীতিতে আসার স্বপ্ন জাগে। আমারও মন চাইতো কাকার মতো মানুষের সুখে দুঃখে নিজেকে ভাগাভাগি করে নিতে। তখন থেকেই আমি সিদ্ধান্ত নিই আমি রাজনীতি করবো। এবং এ বিষয় আমার কাকা শফিউল বারী বাবুর সাথে একদিন শেয়ার করি, তখন তিনি আমাকে জিয়াউর রহমানের আদর্শের রাজনীতি করতে বললেন। এবং তখন থেকে আমার রাজনীতি শুরু।
রাসেল: আপনি অফিসিয়ালি কবে থেকে রাজনীতিতে আসেন?
তানভীর : ২০১২ সাল থেকে আমি রাজনীতিতে আসি শফিউল বারী বাবু কাকার হাত ধরে।
রাসেল: তাহলে আপনি গ্রাম থেকে রাজনীতি জীবন শুরু?
তানভীর: হ্যাঁ, এবংকি আমার এলাকায় ২০১৮ সালে ৮নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ছিলাম।
রাসেল: আপনার ঢাকায় আসার কারণ কি?
তানভীর : আমি পড়ালেখা জন্য ঢাকায় আসি, এবং খিলগাঁও মডেল কলেজে(এইচ এস সি)ভর্তি হই।এরপর হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ ভর্তি হই।
রাসেল: আপনি ঢাকায় এসে রাজনীতিতে সংযুক্ত হলেন কিভাবে?
তানভীর : মতিঝিল থানা ছাত্রদল ৯নং ওয়ার্ড বন্ধু আরিফুল ইসলাম আরিফের সাথে দীর্ঘদিন ছাত্রদলের সাথে রাজনীতি করেছি। পরে ২০১৯ সালে হাবীবউল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মহিন খাঁন এবং ১ নম্বার সদস্য মল্লিক সাহীন ভাইয়ের সাথে আমার ঢাকায় রাজনীতি শুরু হয়। এবং বর্তমানে আমি হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজে ছাত্রদলের সাথে আছি।
রাসেল: আপনার আন্দোলন সংগ্রামের গল্প শুনতে চাই
তানভীর : ২০১৮ সাল কোটা আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রামগতির কৃতি সন্তান ডক্টর মিনহাজুল ইসলাম ভাইয়ের নেতৃত্বে কোটা আন্দোলনে অংশগ্রহণ। দুঃসময়ে দলের সকল কর্মসূচীতে নিঃস্বার্থ ভাবে অংশগ্রহন করেছি। দলের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে করতে গিয়ে পুলিশি হয়রানির শিকার হয়েছি এবংকি ২০২২ সালে ১০ই ডিসেম্বর গোলাপবাগ বিএনপির মহাসমাবেশ শেষ করে আসর পথে মুগদা থানা পুলিশ আমাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে ২৮ অক্টোবর স্মরণীয় দিন বিএনপির মহাসমাবেশে অংশগ্রহণ করি। হঠাৎ করে পুলিশের গোলাগুলি শুরু হয়, তাত্ক্ষণিক সময়ে পুলিশ- আওয়ামিলীগের নেতাকর্মীরা মহাসমাবেশের উপর হামলা করে। যখন ফকিরাপুল এবং বিজয়নগর মোড় দুপাশ থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে তখন আমি পল্টন ভিআইপি টাওয়ারের সামনে কলেজের ছোটো ভাইদের নিয়ে বিভিন্ন ইউনিটের সহযোদ্ধা বড়ো ভাইদের সাথে আওয়ামিলীগ এবং পুলিশকে প্রতিরোধের চেষ্টা করি। একপর্যায়ে পুলিশের আক্রমণে, কাঁদানি গ্যাস,টিয়ারসেল,সাহন্ডবোমায় আমি রাস্তায় পড়ে যাই। পরবর্তীতে কলেজের ছোটো ভাই আমিনুল,অপুর্ব, সাগর সহ কয়েকজন আমাকে ইসলামি হাসপাতালে নিয়ে যায়।
রাসেল: জুলাই আন্দোলনে আপনার ভূমিকা কি?
তানভীর: আমিতো কোটা আন্দোলনের শুরুতে শাহবাগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে অংশগ্রহণ করেছি।
পরবর্তী ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার শান্তিনগর মোড় বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ছাত্রদলের ভাইদের সাথে অংশ গ্রহণ করি। ১৯ তারিখ শুক্রবার বাইতুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজ শেষ করে দৈনিক বাংলা মোড়ে পুলিশের সাথে দাওয়া পাল্টা দাওয়া করে আমার পায়ে রাবার বুলেট লেগে যায়। ৪ তারিখ শান্তিনগর থেকে মিছিলে সাথে শাহবাগে যাই। ৫ তারিখ ১ দফা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার জন্য শান্তিনিনগরের উদ্যেশে রওনা হই। যাওয়ার সময় কাকরাইল মোড় সকাল ১০টায় পুলিশ আমাকে এবং আমার বন্ধু আশরাফকে বন্ধুক ঠেকিয়ে গ্রেফতার করে রমনা থানায় নিয়ে যায়। থানায় এনে পুলিশ আমাদের উপর অমানবিক নির্যাতন শুরু করে।
রাসেল : ধন্যবাদ আপনার রাজনৈতিক জীবন শেয়ার করার জন্য।
তানভীর : আপনাকেও ধন্যবাদ