• রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
Headline
সিলেটের কানাইঘাট থানা পুলিশ কর্তৃক ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী গ্রেফতার সিলেটের কানাইঘাট থানা পুলিশ কর্তৃক কানাইঘাটনের চাঞ্চল্যকর শিহাব হত্যা মামলার পলাতক মূল আসামীসহ ০২ আসামী গ্রেফতার আশুলিয়া রিপোর্টার্স ইউনিটির কমিটি গঠিত – সভাপতি সৌরভ সাধারণ সম্পাদক সাকিব এবার ভারত থেকে আনা হলো ৯৫টি মহিষ। দক্ষিণ চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ গরুর বাজার আনোয়ারার সরকার হাট, যানজটে চরম ভোগান্তিতে! সদস্য আহ্বান সারা বাংলাদেশ ব্যাপী সদস্য সংগ্রহ চলছে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানালেন- রিয়াদুল ইসলাম জামাল পবিএ ঈদ উল আযহা উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন- মোঃ গিয়াস গাজী পবিএ ঈদ উল আযহা উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন- সৈয়দ মোঃ সাইফুল ইসলাম প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে দশ দিনেও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্রের

Reporter Name / ৭১ Time View
Update : বুধবার, ৭ মে, ২০২৫

সুকমল চন্দ্র বর্মন (পিমল)
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বড়তারা গ্রাম থেকে নিখোঁজের ১০ দিন পরেও সন্ধান মেলেনি নিঝুম (১৩) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রের। নিখোঁজ সন্তানের খোঁজ না পেয়ে উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন তার বাবা-মা ও আত্মীয় স্বজন।

জানা যায়, নিখোঁজ নিঝুম জয়পুরহাট সদর উপজেলার কোমর গ্রামের বাসিন্দা মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে। নিঝুম তার প্রথম স্ত্রীর সন্তান। প্রথম স্ত্রী ঢাকায় পোষাক কারখানায় কাজ করতেন। প্রথম স্ত্রী তালাকের পর নিঝুমকে নিজ গ্রামে নিয়ে আসে তার বাবা। এরপর থেকে দ্বিতীয় স্ত্রী ও দাদা দাদির সংসারে থাকেন নিঝুম। তারা নিঝুমকে ক্ষেতলাল উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নের বড়তারা গ্রামে দারুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসায় গত ৭ মাস আগে ভর্তি করে দেয়। সে ওই গ্রামের শহিদুল ইসলাম এর বাড়িতে (জাইগির) থেকে পড়াশোনা করতেন । নিঝুম সাপ্তাহিক ছুটিতে নিজ বাড়িতে যান। ছুটি শেষে গত ২৭ এপ্রিল রবিবার সকাল ১০টায় তার বাবা মোজ্জামেল হোসেন নিঝুমকে ওই মাদ্রাসায় রেখে যায়। বিকেল ৩টার পর তাকে আর মাদ্রাসায় পাওয়া যাইনি। এরপর তাকে সম্ভাব্য জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পয়ে সন্ধ্যায় তার পরিবারের কাছে ঘটনাটি জানায়। ঘটনার দুই দিন পযর্ন্ত ওই মাদ্রাসার সভাপতি সুজাউল ইসলাম ও নিঝুমের পরিবার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে সন্ধান না পয়ে গত ২৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার) নিঝুমের বাবা মোজ্জামেল হোসেন ক্ষেতলাল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এঘটনায় ওই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ গত ২ মে বহুল প্রচারিত স্থানীয় দৈনিক করতোয়া পত্রিকায় নিখোঁজ নিঝুমের সন্ধান চেয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার করেন।

এক প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ২৭ এপ্রিল বুধবার বিকেলে নিঝুমকে বগুড়া-জয়পুরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে নিশ্চিন্তা বাজার এলাকায় হাতে একটি শপিং ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

নিঝুমের বাবা মোজ্জামেল বলেন, “২৭ এপ্রিল সকালে ছেলেকে মাদ্রাসায় দিয়ে আসি। সন্ধ্যায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানায়, ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করি ২৯ এপ্রিল থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। ১০ দিন পার হয়ে গেলেও এখনো কোনো খবর পাইনি। আমি প্রশাসনের সহায়তা চাই।”

নিঝুমের দাদা মাহফুজুর রহমান বলেন, “প্রায় ১০ বছর আগে নিঝুমের বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়। তখন সে মাত্র দুই বছরের ছিল। আমি তাকে লালন-পালন করেছি। তার মা ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করেন। শিশুটির দেখভালের জন্যই তিনি তাকে আমার কাছে রেখে যান। এখন আমার নাতি নিখোঁজ – আমি প্রশাসন ও দেশবাসীর কাছে সাহায্য চাই।”

বড়তারা দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার মহাতামিম মাওলানা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনার দিন জোহরের নামাজের পর সকল ছাত্র মাদ্রাসায় ছিল। তবে মাগরিবের নামাজের আগে নিঝুমকে আর পাওয়া যায়নি। সঙ্গে সঙ্গে তার পরিবারকে জানানো হয়। মাদ্রাসা কমিটির সঙ্গে আমরাও খোঁজ খবর চালিয়ে যাচ্ছি।”

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপেন্দ্র নাথ সিং বলেন, “ঘটনার পর নিঝুমের বাবা থানায় জিডি করেছেন। আমরা তদন্ত করছি এবং ছেলেটিকে খুঁজে বের করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

Facebook Comments Box


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
bdit.com.bd